শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
আবুুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে ১ মাসের ব্যবধানে চারটি ইউনিয়নে ফের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। লামাকাজি, খাজাঞ্চি, দৌলতপুর ও অলংকারি ইউনিয়ন। চারটি ইউনিয়নের গ্রামের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন।
খাজাঞ্চি রেলওয়ে স্টেশন, হাটবাজার ও সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার পরিবার। খাজাঞ্চি-কামালবাজার সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রেল ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে খাজাঞ্চি সিলেট রেল যোগাযোগ। ফলে পানিবন্ধী মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেছেন, ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম বন্যায় পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষের বাড়ী ঘরে পানি। এই ভয়াবহ অবস্থায় মানুষ দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। পানিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য ৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ইতিমধ্যে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন।
খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী বলেছেন, ৫০ বছরের মধ্যে এত বড় বন্যা কখনো দেখিনি। রেল স্টেশনে পানি দেখা দূরের কথা আজ রেল স্টেশনটিও পানিতে তলিয়ে গেছে। আমার এখানে প্রাইমারি স্কুলগুলো নিচু তারপরও পানিবন্ধী মানুষকে উচু বিদ্যালয় গুলোতে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলে রেখেছি। তিনি বলেন, ইউনিয়ন অফিসের দু’তলায় গরু-ছাগল রাখার জন্য বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে বলে রেখেছি।
অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল বলেন, ইউনিয়নের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্ধী অবস্থায় রয়েছেন। বৃষ্টি ছাড়া পানি হেুা হেুা করে বাড়ছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, আমি বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। লামাকাজি ইউনিয়নের অবস্থা ভয়াবহ। পানিবন্ধী মানুষকে প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খাজাঞ্চি, দৌলতপুর ও অলংকারি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্ধী মানুষকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে তিনি জানান।